ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নামটি যেভাবে এলো, অর্থ কী?


ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’  নামকরণ


পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যা আগামী রোববারে (২৩ মে) মধ্যে আরও শক্তিসঞ্চয় হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
 

এটি বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে যশ (Yaas)। 

 

আবহবিদদের মতে, ঝড় সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট নাম থাকা জরুরী। তা না হলে একই সমুদ্রে একই সময়ে একাধিক ঝড় হলে তার চিহ্নিত করতে আবহবিদদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া, ঝড়ের সুনির্দিষ্ট নাম না থাকলে সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই, প্রতিটি ঝড়ের সুনির্দিষ্ট নাম দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে মোট ১১টি সংস্থা এই নাম ঠিক করে।

 

তবে, কয়েক দশক আগেও এর কোন নিয়ম ছিলোনা। তখন নানা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ঝড়ের নামকরণ করা হতো। ঝড়ে সমুদ্রে কোন জাহাজ ডুবে গেলে সেই জাহাজের নামে ঝড়ের নাম দেওয়া হতো। 

 

২০০০ সালে প্রথম ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম তৈরি করা হয়। এসময় ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এতে থাকা ওই ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। 

 

অর্থাৎ ওই তালিকায় সবমিলিয়ে নাম জমা পড়ে ১৬৯ টি। সেই তালিকা থেকেই আমফান, ফণী, নিঃসর্গ, হুদহুদ, তাওকত ইত্যাদি নামগুলো এসেছে। আর তাওকতের পরের নামটিই হলো যশ (Yaas)

 

যশ (Yaas) শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে আগত। যার অর্থ হতাশা, বা দুঃখ।  

 

আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলো নামকরণ করে।

 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী যশ (Yaas) নাম প্রস্তাব করেছে ওমান।

 


যশ (Yaas) এর পর আরো অনেকগুলা ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো: জাওয়াদ (সৌদি আরব), অশনি (শ্রীলঙ্কা), গুলাব (পাকিস্তান), সাহিন (কাতার), সীতরাং (থাইল্যান্ড), মানদৌস, মোচা (ইয়েমেন)