উইকিলিকস কি? উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা কে?




 উইকিলিকস  (WikiLeaks)


উইকিলিকস কি -


উইকিলিকস একটি অনলাইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রচার মাধ্যম। যারা বিভিন্ন গোপন নথি প্রকাশের জন্য বিখ্যাত। অজ্ঞাত সূত্র থেকে পাওয়া বিভিন্ন গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করা এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।


২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর উইকিলিকসের ওয়েবসাইটটি নিবন্ধন করা হয়। তবে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়েবসাইটটি চালু হয়। উইকিলিকসকে অনেকে বিকল্প ধারার গণমাধ্যম হিসেবে অভিহিত করেন। তবে অ্যাসাঞ্জের ভাষ্যে, এটা বৈজ্ঞানিক সাংবাদিকতা।



উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা কে – 


উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান। তিনি উইকিলিকস এর সম্পাদক ও পরিচালক। 


অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার রক্ষায় বেশ কয়েকটি পুরষ্কার পেয়েছেন উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।  


গ্রেপ্তারের ভয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। 



উইকিলিকস কী ধরনের প্রতিষ্ঠান 


উইকিলিকস একটি অনলাইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক গণমাধ্যম।  প্রতিষ্ঠানটি চলে অনুদানের অর্থে। এর কোন বেতনভুক্ত কর্মী নেই। কর্মীরা সবাই স্বেচ্ছাসেবী। উইকিলিকসের নিজস্ব কোনো দপ্তর নেই।


 যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, তাইওয়ান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, গণিতবিদ ও প্রযুক্তিবিদরা মিলে এ ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন। 


মূলত গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে উইকিলিকস। তবে, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বা নথির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ে প্রতিষ্ঠানটি সাংবাদিকতার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে।


লাখ লাখ তথ্য ও দলিল সংরক্ষণে সুরক্ষিত সার্ভার ব্যবহার করে উইকিলিকস। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের  বর্বরতার গোপন তথ্য ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে উইকিলিকস। এরপর কয়েক দফায় যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করতে থাকে উইকিলিকস। 


উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। এর ফলে উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষুশূলে পরিণত হয়। উইকিলিকস বন্ধে নানা অপচেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি জুলিয়াস অ্যাসাঞ্জকে শায়েস্তার কৌশল খুজতে থাকে । 


সুইডেনে যৌন হয়রানির মামলায় লন্ডনে গ্রেপ্তার হন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। পরে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। তিনি সেখানে বসেই তার কাজ চালিয়ে যান। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে উইকিলিকস তাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।